সামাজিক সংগঠনের পরিচ্ছন্ন নীতিমালা বা গঠনতন্ত্র

যে কোন সামাজিক সংগঠন পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন নীতিমালা বা গঠনতন্ত্র। সামাজিক সংগঠনের মূল ভিত্তি হলো নীতিমালা বা গঠনতন্ত্র। এ ভিত্তির উপরেই দাড়িয়ে থাকে সামাজিক সংগঠন। নীতিমালা বা গঠনতন্ত্র যদি দুর্বল হয় তা হলে সে সংগঠন ভেংগে পগে। নীতিমালা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে (সামাজিক সংগঠনের নীতিমালা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নীতিমালা, সামাজিক সংগঠনের সংবিধান , ছাত্র সংগঠনের গঠনতন্ত্র, সামাজিক সংগঠনের কমিটি গঠনের নিয়ম, সামাজিক সংগঠনের নিয়মাবলী, যুব সংগঠনের গঠনতন্ত্র, ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র) সমস্ত গঠনতন্ত্র একই। 



এখানে আমরা চৌহাল ইউথ ফাউন্ডেশনের নীতিমালা বা গঠনতন্ত্র হুবহু তুলে ধরব।

 

গঠনতন্ত্র 




চৌহাল ইউথ ফাউন্ডেশন

মানবতার কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ





প্রতিষ্ঠাকাল- ০১/১২/২০১৮ খ্রি:


খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মোড় 

খাষকাউলিয়া, চৌহালী, সিরাজগঞ্জ।


মোবাইল- ০১৯১৯-৪৪৫৭৫১, ০১৯------।



সূচিপত্র:


ধারা আলোচ্য বিষয় পৃষ্ঠা


ধারা- ১ নামকরন 

ধারা- ২ ঠিকানা 

ধারা- ৩ কার্যক্রম এলাকা 

ধারা- ৪ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 

ধারা- ৫ ভিশন

ধারা- ৬ লোগো 

ধারা- ৭ স্লোগান 

ধারা- ৮ সদস্য পদ লাভের যোগ্যতা ও নিয়ম 

ধারা- ৯ সদস্য পদের শ্রেণী বিভাগ 

ধারা- ১০ সদস্য পদ বাতিল 

ধারা- ১১ শূণ্য পদ পূরণ ও সদস্য পদ পুনঃ বহাল 

ধারা- ১২ সদস্যদের অধিকার 

ধারা- ১৩ সাংগঠনিক কাঠামো 

ধারা- ১৪ কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামো

ধারা- ১৫ কার্যনির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা

ধারা- ১৬ উপকমিটি গঠন 

ধারা- ১৭ এডহক কমিটি 

ধারা- ১৮ নিয়োগ পদ্ধতি

ধারা- ১৯ সভা সংক্রান্ত বিধি

ধারা- ২০ সভার নোটিশ 

ধারা- ২১ আর্থিক বিধি

ধারা- ২২ আয়ের উৎস

ধারা- ২৩ ব্যয়ের খাত

ধারা- ২৪ হিসাব নিরীক্ষণ (অডিট)

ধারা- ২৫ নির্বাচন পদ্ধতি

ধারা- ২৬ ভোটার

ধারা- ২৭ অনাস্থার নিয়ম

ধারা- ২৮ বিরোধ মীমাংসা

ধারা- ২৯ বিলুপ্তি

ধারা- ৩০ শপথ

ভূমিকাঃ


“সুশীল সমাজ গড়ার অবিরাম প্রত্যয়” এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে একদল নিরবিচ্ছিন্ন যুবক একই ছালাতলে এসে কল্যাণধর্মী কার্য বাস্তবায়ন ও মানবতার সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগের উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হয়। এরই ধারাবাহিকতার প্রয়াস আমাদের এই ফাউন্ডেশন। এই সংগঠনের প্রাণশক্তি হলো অদম্য, প্রাণচঞ্চল যুবশক্তি এইরূপ কিছু সংখ্যক যুবগোষ্ঠী সাংগঠনিক প্রঙ্ঘা সমন্বিত করিয়া ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিজেরদর সম্পৃক্ত করিয়া এলাকার সর্বস্তরের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগীতা নিয়ে রাষ্ট্রীয় বিধি বিধানের সাথে সংগতি রেখে ২০১৮ সালের ০১ ডিসেম্বর চৌহালী ইউথ ফাউন্ডেশন নামে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেন। ইহা একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।

ধারা- ১: নামকরণ: 

এই সংগঠনের নাম: “চৌহালী ইউথ ফাউন্ডেশন ”

ধারা- ২: ঠিকানা: 

খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মোড়, খাষকাউলিয়া, চৌহালী, সিরাজগঞ্জ।

ধারা- ৩: কার্যক্রম এলাকা: 

সমগ্র বাংলাদেশে এই সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হইবে। সমাজসেবা অধিদপ্তর/যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশের বাহিরে ও এই সংগঠনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হইবে।

ধারা- ৪: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের আত্মসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী ভাষা, সাহিত্য- সংষ্কৃতি লালন, পরিবেশ ও মানবাধিকার সংরক্ষন করার একটি তৃণমূল আন্দোলন সৃষ্টি করে দেশ ও মানুষের সেবার আস্থা অজর্ন।

১. বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের আত্মসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, নেতৃবৃন্দের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করণ, উন্নয়ন স্থাপনা সংরক্ষণ, প্রাগ ঐতিহাসিক উন্নয়ন স্থাপনা সংরক্ষণ,তথ্য অধিকার সংরক্ষন,উন্নয়ন বিমুখতা প্রতিহত করন, বাজেট পর্যালোচনা করন, উন্নয়ন সম্ভাবনা চিহ্নিত করে রিপোট পেশ ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করন, সর্বোপরি তৃণমূল উন্নয়ন আন্দোলন।

২. বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ করতে সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গন নিয়ে সতন্ত্র বিভাগসহ একটি নিজস্ব শিল্পগোষ্ঠী গঠন, উন্নয়ন ফান্ড গঠন, শিল্পী ও উন্নয়ন কর্মীদের সংগঠিত করতে একটি বহুমূখী চৌহালী ইউথ ক্লাব প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালানো।

৩. সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বানিজ্যিক উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, প্রযুক্তি ও সমাজ সেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন এমন গুনিজনদের দ্বি-বার্ষিক সাধারন সভায় সম্মাননা পদক প্রদান করা হবে। সম্মাননা পদকটির জন্য একটি স্বতন্ত্র ফান্ড গঠনের চেষ্টা করা।

৪. বন্যা দূর্গতের মাঝে তাৎক্ষণিক ত্রাণ কার্যক্রম বিতরণ করা। এ বিষয়ের জন্য নদী ব্যবস্থাপনা, নদীরক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও দুর্গতদের পুনর্বাসনসহ সার্বিক বন্যা উত্তর পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা।   

৫. নদী ভাঙ্গন রোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে উন্নয়ন উপযোগী পরিবেশ সংরক্ষণ। এ লক্ষ্যে অস্থায়ী বাধ, বৃক্ষরোপন, বনায়ন, নার্সারী প্রকল্প গ্রহণ করা। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন, বেড়ীবাধের ক্ষতি করে তাদের বিরুদ্ধে এ সংগঠন আদালতে মামলা করতে পারবে। 

৬. অবৈধ নারী ব্যবসা, নারী ও শিশু পাচারকারী, অপহরণকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ সংগঠন আইনী সহায়তাসহ আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন। 

৭. শিক্ষা মূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাতে গ্রাম ও শহরের গরীব জনগোষ্ঠির মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর যায়। গণশিক্ষা, শিশু শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, আরবী শিক্ষা দানের জন্য গ্রাম ও শহরের লোকদের আকৃষ্ট করা। উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা অশিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের ব্যবহারিক শিক্ষা দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান এবং দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরন প্রদান করা।

৮. প্রতিবন্দী, এতিম, মহিলা ও শিশুদের উন্নয়নে কর্মসূচী গ্রহন করা। দেশের অবহেলিত গরীব ছিন্নমূল শিশুদের পুর্নবাসনের পদক্ষেপ গ্রহন করা এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ও পরিবেশগত মান উন্নয়ন করা। বৃদ্ধ, দৈহিক অক্ষম ও প্রতিবন্দীদের বাসস্থান ও সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ প্রতিবন্দী ও নির্যাতিত মানুষকে পুর্নবাসন করা।

৯. মাদকাশক্তি নিরাময় বিভিন্ন জনসাস্থ্য ক্ষতিকর খাবার অভ্যাস, মানসিক কু-সংস্কার ও সামাজিক অপরাধমূলক প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, প্রতিকার, সচেতনতা, চিকিৎসা ও পূর্ণবাসন, গণশিক্ষা,কারীগরি শিক্ষা প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং সর্ব প্রকার সর্ব শ্রেণীর বিশেষতঃ নিম্ন মধ্য শ্রেণী বস্তীবাসী, বাস্তুহারা এবং সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা এই উপলক্ষে ভবিষ্যত আত্যাধুনিক হাসপাতাল/ক্লিনিক ও পূর্ণবাসন কেন্দ্র স্থাপন ও প্রয়োজনে সম্প্রসারন করা।

১০. পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচীর আওতায় জন্ম নিয়ন্ত্রন ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্লিনিক প্রতিষ্ঠানের (যথাযথ কতৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে) মাধ্যমে সেবাদানের ব্যবস্থা করা ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ করা, শিশু জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত নিবন্ধন সংরক্ষণ করা।

১১. নারীকে সামাজিক নির্ভরশীলতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করে সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা জোরদার করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা। নারী অধিকার ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সের আয়োজনসহ নির্যাতিত মহিলাদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা। মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্ব-নির্ভর করার জন্য বিভিন্ন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান।

১২. কৃষি ক্ষেত্রে জন সাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণ, উৎসাহ প্রদান এবং এর মাধ্যমে উন্নত পদ্ধতিতে ফলন বৃদ্ধি করতে কৃষকদের শিক্ষার মাধ্যমে যুগোপযোগী কৃষক হিসাবে গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ, বীজ, সার ঔষধ ইত্যাদি সহজে এবং সুলভ মূল্যে প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং ছোট বড় হিমাগার প্রতিষ্ঠা করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করা এবং প্রদর্শনী খামার তৈরী করা। মৌমাছি পালন, রেশম পোকা পালন, হাঁস-মুরগী, মৎস, ছাগল ও গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করা এবং এ সম্বন্ধে বেকার যুবক- যুব মহিলা ও সংশ্লিষ্ট চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। মৎস্য ও গবাদী পশু পালন জাতীয় খামার পরিচালনা করা। যাবতীয় কৃষি কর্মে প্রয়োজনে সরকারী খাস জমি লীজ গ্রহণ, ক্রয় বা চিরস্থায়ী বন্দোবস্তা গ্রহণ করা হবে।

১৩. দারিদ্র বিমোচন সম্পর্কিত কর্মসূচীর আওতায় দুঃস্থ ভূমিহীন, বিত্তহীন গৃহহীন এবং নিম্ন আয়ের জনগণ এর জন্য কর্মসূচী গ্রহণ। শিক্ষিত বেকার অবহেলিত যুবক-যুব মহিলা, বিধবা মহিলাদের প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ।

১৪. জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদকদ্রব্য ও ধুমপান বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন দিবস পালনার্থে সভা-সমাবেশ, সেমিনার, র‌্যালী সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা। ধুমপান ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য বর্জন করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বাল্যবিবাহ, বহু বিবাহ, ইভটিজিং, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বিবাহ নিবন্ধন (কাবিন কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ), ঝড়, মহামারী ইত্যাদির কারণে দূর্গত মানুষের সেবা ও পুর্ণবাসন কর্মসূচী গ্রহণ। সমাজের অন্ধত্ব ও গোঁড়ামি, সমাজের কুসংস্কার ও নির্যাতন এবং সামাজিক অপরাধমূলক প্রবনতা রোধ করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির পদক্ষেপ গ্রহণ করে জনসাধারণ কে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা প্রদান করা। বেওয়ারিশ লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।

১৫. মানব সম্পদ উন্নয়নে সামগ্রীক কার্যক্রম গ্রহণ করে দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এবং শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা, কম্পিউটার ও ডাটা এন্ট্রি ফার্ম, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ফার্ম প্রতিষ্ঠা করা।

১৬. ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পর্কিত কর্মসূচির আওতায় শিল্প স্থাপন ও সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, মহিলাদের দেশী বিদেশী রান্নার প্রশিক্ষণ, নকশী কাঁথা বুনন, কাঁথা সেলাই,ব্লক-বাটিক ও বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ প্রশিক্ষণ প্রদান।

১৭. কার্যক্রমের সুবিধার্থে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে কার্যক্রম পরিচালনা। সরকারী ও বেসরকারী সকল সংস্থার সাথে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সম্পর্ক স্থাপন এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে অন্যান্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ স্থাপন (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে)।

১৮. ক্যানসার, এইচ, আই, ভি, এইডস, প্লেগ, হেপাটাইটিস-বি, ভাইরাস, সার্স ইত্যাদি মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে পরিকল্পিত ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ সংক্রান্ত রোগীদের চিকিৎকার ব্যবস্থা করা।

১৯. আর্সেনিক ও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যমুক্ত বিশুদ্ধ পানি পানে উদ্বুদ্ধকরণ ও এর প্রতিরোধ কর্মসূচী গ্রহণ করা। পানিতে মানব দেহের জন্য আর্সেনিকের ক্ষতিকর মাত্রা নিরূপন করে সে সব এলাকা ও নলকূপ চিহ্নিত করা।

২০. সংগঠনের স্বার্থে ও কৃষি সহ জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রয়োজনে সরকারী খাস জমি, অর্পিত সম্পত্তি, ওয়াক্ফ সম্পত্তি লীজ গ্রহণ, ক্রয় বা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হবে।

২১. পুস্তিকা, সংবাদ সাময়িকী, পোষ্টার, ব্যানার, কার্ড, ক্যালেন্ডার এবং বিভিন্ন গন মাধ্যমে কার্যক্রম প্রকাশ এবং প্রচার করা। সমাজের উন্নয়ন, অপর্কম, ধর্ম ও বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণে বার্তা সংস্থা, টিভি চ্যানেল দৈনিক পত্রিকা, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক হিসাবে দেশের প্রচলিত নিয়মে সমগ্র দেশব্যাপী অথবা জেলা ভিত্তিক, আর্ন্তজাতিক ভাবে প্রকাশনা, পরিচালনা করতে পারবে এবং প্রচার মাধ্যমে অর্থাৎ জাতীয় আর্ন্তজাতিক ভাবে প্রকাশনা, পরিচালনা করতে পারবে অর্থাৎ জাতীয় আর্ন্তজাতিক বেতার (রেডিও) সরকারী ও বেসরকারী টিভি চ্যানেলে প্রচার করতে পারবে। প্রজাতন্ত্রের স্বার্থে সরকারের পাশাপাশি সমাজের যে কোন ধরনের অপরাধ-অপকর্ম ও অনিয়মের স্থির চিত্র, ভিডিও চিত্র ধারণ পূর্বক স্বাক্ষী হিসেবে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন এবং জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন করতে পারবে।

২২. অন্ধ পূর্ণবাসন, বয়স্ক পূর্ণবাসন, কারামুক্ত ও কয়েদী মানসিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ পরিকল্পনাসহ সমাজের উন্নয়নমূলক যে কোন পরিকল্পনা এই প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করবে।

উপরে উল্লেখিত উদ্দেশ্য ছাড়াও সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমে সংগঠনের উন্নয়ন কল্পে জাতীয় পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন সময়োপযোগী সমন্বিত ও সম্পূরক কর্মসূচী গ্রহন করা হবে। যেমন- 

  • বেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি।
  • মোটিভেশনাল ক্লাসের ব্যবস্থা।
  • প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা (সনদ সহ)।
  • ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা।
  • প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ন।
  • চাকরি তথ্য সহযোগিতা।
  • যুব ছাত্রদের টিউশনি ও লজিংয়ের ব্যবস্থা করা।
  • সব ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক দিবস পালন করা।
  • বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে- অংশগ্রহণ করা।
  • সামাজিক বিপন্ন লোকদের কল্যাণ সাধন চৌহাল ইউথয্য করা।
  • আমাদের সদস্যদের মধ্যে সমবায় মূলক কর্মকান্ড গড়ে তোলা।
  • প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় চৌহাল ইউথয্য করা।
  • যুব ফান্ড গঠন।
  • বিনোদনমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা।
  • যুবকদের সমাজ সেবামূলক কাজে উৎসাহিত করা।
  • অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।

ধারা- ৫: ভিশনঃ

যুব সমাজকে নৈতিক ও আদর্শিক শিক্ষার দিকে অগ্রসর করে এবং সমাজসেবামূলক কাজে উৎসাহ যোগিয়ে মাদক মুক্ত ও বেকার মুক্ত দেশ গড়া।

ধারা- ৬: লোগো: 

নির্দিষ্ট নকশা অনুযায়ী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

ধারা- ৭: স্লোগান: 

“মানবতার কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ”

ধারা- ৮: সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা ও নিয়ম:

সদস্যপদ লাভে আগ্রহী ব্যক্তিকে

  • যিনি জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক
  • যিনি ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত ভর্তি ফি, মাসিক চাঁদা ও ধার্য্যকৃত অন্যান্য চাঁদা প্রদানে সম্মত থাকিতে হইবে।
  • তাহার বয়স কমপক্ষে ১৮ (আঠার) বছর পূর্ণ হইতে হইবে।
  • তাহাকে অবশ্যই সংগঠনের কল্যাণে কাজ করার জন্য উৎসাহিত হইতে হইবে এবং গঠণতন্ত্র মানিয়া চলিতে হইবে।
  • তাহাকে সুস্থ মন-মানসিকতার অধিকারী হইতে হইবে। পাগল ও চরিত্রবিহীনকে সদস্য পদ দেয়া হইবে না। কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সদস্য পদ প্রদান করা হইবে।

সদস্য পদ পাওয়ার জন্য প্রার্থীর সদ্য তোলা ০১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজ ও ০১ (কপি) ষ্ট্যাম্প সাইজ ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের (০১) এক কপি সদস্য ফরমের সাথে সংযুক্ত করিয়া ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করিতে হইবে।

ধারা- ৯: সদস্য পদের শ্রেণী বিভাগ:

এই সংগঠনের ০৪ (চার) প্রকার সদস্য পদ থাকিবে। যথা:

(০১) সাধারণ সদস্য

(০২) আজীবন সদস্য

(০৩) দাতা সদস্য

(০৪) প্রাতিষ্ঠানিক

৯.১ সাধারণ সদস্য:

কার্যক্ষেত্রে এলাকার এবং দেশের যেকোন এলাকার যে সকল ব্যক্তি অত্র সংগঠনের কল্যাণে কাজ করিতে উৎসাহিত হইয়া এবং গঠণতন্ত্র মানিয়া নিয়মিত মাসিক ও অন্যান্য চাঁদা প্রদান করিবেন এবং নির্ধারিত আবেদন করিবেন তিনি/তাহাকে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সাধারণ সদস্য হিসেবে গণ্য করা হইবে। সাধারণ সদস্য ভর্তি ফি ১০০/- (একশত) টাকা ও মাসিক চাঁদা ৫০/- (বিশ) টাকা। কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে ভর্তি ফি ও চাঁদার হার হ্রাস/বৃদ্ধি করা যাইবে।

৯.২ আজীবন সদস্য:

যেকোন দানশীল ও সমাজ সেবী ব্যক্তি সংস্থার কল্যাণে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এবং গঠনতন্ত্র মানিয়া এককালীন কমপক্ষে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা বা তৎসম পরিমাণ অর্থ/সম্পদ প্রদান করিবেন, কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে তাহাকে/তাহাদিগকে আজীবন সদস্য পদ দান করা যাইবে। আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদানের অধিকার ছাড়া সকল কাজে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

৯.৩ দাতা সদস্য:

সংগঠনের কার্যকরী এলাকায় বসবাসরত কোন পুরুষ/মহিলা সংগঠনের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রসারের জন্য এককালীন সংগঠনকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা বা সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে দাতা সদস্যপদে অন্তর্ভূক্ত হতে পারিবেন। এ ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহীর অনুমোদন প্রযোজ্য হবে।

৯.৪ প্রাতিষ্ঠানিক সদস্য ঃ

সংগঠনের কার্যকরী এলাকায় অত্র সংগঠনের সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক ঐ সকল জাতীয়/আন্ত—জাতিক প্রতিষ্ঠান অত্র ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রসারের জন্য এককালীন সংগঠনকে ২৫,০০০/- (পচিঁশ হাজার) টাকা বা সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে দাতা সদস্যপদে অন্তর্ভূক্ত হতে পারিবেন। এ ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহীর অনুমোদন প্রযোজ্য হবে।

ধারা- ১০: সদস্য পদ বাতিল :

১. কোন সদস্য একাধারে ০৬ (ছয়) মাসের মাসিক চাঁদা পরিশোধ না করিলে।

২. উপযুক্ত কারণ বা পূর্বানুমতি ব্যতিত পরপর ০৩ (তিন)টি সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকিলে।

৩. সংস্থার স্বার্থের পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকিলে বা থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হইলে।

৪. কোন সদস্য মৃত্যুবরণ করিলে বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিলে।

৫. কোন সদস্য গর্হিত কাজে লিপ্ত হইলে।

৬. মৃত্যু, দেউলিয়া, পাগল বা আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হইলে এবং সাজার মেয়াদ কমপক্ষে দুই বৎসর অতিক্রম হইলে।

৭. পদত্যাগপত্র পেশ ও কার্যকরী পরিষদ সভায় পদত্যাগপত্র অনুমোদিত হইলে। 

(উল্লেখ্য থাকে যে, ৭ ধারায় বর্ণিত ক্রমিক নং (১), (২), (৩) ও (৫) এর কারণে সদস্য পদ বাতিল করিবার পূর্বে সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক ০৭ (সাত) দিন সময় দিয়া নোটিশ প্রদান করা হইবে। নোটিশের জবাব না দিলে বা জবাব সন্তোষজনক না হইলে কার্যকরী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়া পুনরায় ০৭ (সাত) দিন সময় দিয়া সাধারণ সম্পাদক চূড়ান্ত নোটিশ দান করিবেন। চূড়ান্ত নোটিশের জবাব না দিলে বা জবাব সন্তোষজনক না হইলে কার্যকরী পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়া সদস্য পদ বাতিল করিতে পারিবেন)।

ধারা- ১১: শূণ্য পদ পূরণ ও সদস্য পদ পুনঃবহাল:

(ক) শূণ্য পদ পূরণঃ কার্যনির্বাহী পরিষদ/সাধারণ পরিষদ/উপদেষ্টা পরিষদ এর কোন সদস্যপদ শূণ্য হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে শূণ্য পদ পূরণ করা হইবে।

(খ) সদস্য পদ পুনঃবহাল: সদস্য পদ পদ বাতিল হইয়াছে এমন সদস্য যদি পুনরায় সদস্য পদ পাইতে চাই তাহাকে সংগঠনের সমন্ত বকেয়া চাঁদা পরিশোধ এবং ভবিষ্যতে আর কোন অপরাধ করিবেন না মর্মে অঙ্গীকার নামা দিয়ে সভাপতি বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করিতে হইবে। আবেদন পত্র কার্যকরী পরিষদ এর সভায় গৃহীত হইলে পুনঃ সদস্য পদ দান করিতে পারিবেন।

ধারা- ১২: সদস্যদের অধিকার:

সংস্থ্ার সকল সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মোতাবেক সুযোগ সুবিদা লাভ করিবেন। কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অংশগ্রহণ, ভোগ দান ও প্রার্থী হইতে পারিবেন। সংস্থার কল্যাণে মতামত পেশ করিতে পারিবেন।

ধারা- ১৩: সাংগঠনিক কাঠামো:

অত্র সংস্থার কার্যক্রম ও সুষ্ঠু ও সুন্দরভবে পরিচালনার জন্য ০৪ (চার) টি পরিষদ থাকিবে। যথা

(ক) সাধারণ পরিষদ,

(খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ,

(গ) উপদেষ্টা পরিষদ,

(ঘ) পৃষ্ঠাপোষক পরিষদ,

(ক) সাধারণ পরিষদ গঠন, দায়িত্ব ও ক্ষমতা:

দাতা সদস্য সহ অন্যান্য সকল সদস্যদের সমন্বয়ে এই পরিষদ গঠিত হইবে। এই পরিষদ হইবে সংগঠনের মেরুদন্ড এবং ক্ষমতার প্রধান। এই পরিষদ গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রতি দুই বৎসরের জন্য কার্যকরী পরিষদ গঠন করিবেন। গঠিত কার্যকরী পরিষদ এর উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কিনা তাহা তদারক করিবেন। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইলে এই পরিষদ গঠনতন্ত্র মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব, বাজেট, গঠনতন্ত্রের যেকোন সংশোধনী এবং কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করিবেন।

(খ) কার্যকরী পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা:

সংস্থার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবার জন্য সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ০২ (দুই) বৎসর মেয়াদকালের জন্য গঠিত ১১ (এগার) সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবেন। সদস্য ভর্তি অনুমোদন, উপযুক্ত কারণে বহিস্কার, পুন: সদস্য পদ প্রদান, সংস্থার আয় ব্যয় এর হিসাব রক্ষনাবেক্ষণ এবং সংস্থা গঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করিবেন। বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, বার্ষিক অডিট প্রদান, বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, সরকারী-বেসরকারী যোগাযোগ সহ লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন সহ সংস্থা গঠনের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

(গ) উপদেষ্টা পরিষদ:

যাহাদের জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করিবে, কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনায় সহায়ক হবে, সংস্থার ভিতরে কোন কোন সময় কোন অনাকাংখিত ও দুঃখজনক ঘটনা সৃষ্টি হইলে যাহাদের পরামর্শ কাজে লাগিবে ও সকলে মানিয়া নিবে, এমন সর্বজন গ্রহণযোগ্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়া কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়া উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যাইবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কোন ক্রমেই কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তার সংখ্যার অধিক হইবে না। এই পরিষদের সদস্যবৃন্দ নির্বাচনে প্রার্থী হইবে না ও ভোট ও দিতে পারিবে না।

(ঘ) পৃষ্টপোষক পরিষদ:

যাহাদের জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করিবে, কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনায় সহায়ক হবে, সংস্থার ভিতরে কোন কোন সময় কোন অনাকাংখিত ও দুঃখজনক ঘটনা সৃষ্টি হইলে যাহাদের পরামর্শ কাজে লাগিবে ও সকলে মানিয়া নিবে এবং সংঘটনের সার্বিক কার্যক্রমে অভিভাবকের ভূমিকায় পালন করিবে এমন সর্বজন গ্রহণযোগ্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়া কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়া পৃষ্টপোষক পরিষদ গঠন করা যাইবে। পৃষ্টপোষক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কোন ক্রমেই কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তার সংখ্যার দ্বিগুনের অধিক হইবে না। এই পরিষদের সদস্যবৃন্দ নির্বাচনে প্রার্থী হইবে না ও ভোট ও দিতে পারিবে না। তবে নির্বাচন কমিশন হিসেবে কাজ করিতে পারিবে।

ধারা- ১৪: কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামো:

১. সভাপতি- ১ জন

২. সহ-সভাপতি- ১ জন

৩. সাধারণ সম্পাদক - ১ জন

৪. যুগ্ম সম্পাদক- ১ জন

৫. সাংগঠনিক সম্পাদক- ১ জন

৬. অর্থ সম্পাদক- ১ জন

৭. দপ্তর সম্পাদক- ১ জন

৮. প্রচার (তথ্য প্রযুক্তি), প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক- ১

৯. সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক- ১ জন

১০. আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক- ১ জন

১১. শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা- ১ জন

মোট- ১১ জন

ধারা- ১৫: কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা:

নির্বাহী পরিষদের বিভিন্ন পদ সমূহের ক্ষমতা ও কার‌্যাবলীঃ

১৫.ক. সভাপতি এই সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের অনুমোদিত প্যানেল থেকে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। একজন নির্বাচিত এই সংগঠনের কার্যকারী পরিষদের অনুমোদিত প্যানেল থেকে সাধারন পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। 

১. সভাপতির দায়িত্ব ও কতর্ব্যঃ 

সভাপতি হচ্ছে এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হাসিল, পরিচালনা, কর্মসূচির বাস্তবায়ন এবং সর্বোৎকৃষ্ট সাংগঠনিক শৃঙ্খলা সংরক্ষন করার একমাত্র ব্যক্তি। তিনি কার্যনির্বাহী কমিটি ও সাধারন পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের আয় ও উন্নতির প্রতি সর্বদা নজর রাখবেন। সভা চলাকালে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন এবং সভার শৃংঙ্খলা রক্ষা করবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক এর বিল ভাউচার অনুমোদন করবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের পরার্মশ অনুসারে কাজ করবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে পরার্মশ করে প্রয়োজনবোধে পূর্ণ বা আংশিকভাবে তার সেক্রেটারীয়েট রদবদল করতে পারবেন। নির্বাহী পরিষদ ভেঙ্গে গেলে বা মেয়াদ পূর্ন হলে তিনি অর্ন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করার জন্য সংগঠনের স্থায়ী পরিষদের নিকট দায়িত্ব হস্থÍান্তার করবেন।  

২. যদি কোন কারনে সভাপতি পদ স্থায়ীভাবে শুন্য হয় অথবা মেয়াদ পূর্ন হয়, তাহলে কার্যকরী পরিষদ তার সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িক/অর্ন্তবর্তীকালিন সভাপতি নির্বাচিত করে যথাশ্রীঘ্রই সম্ভব সাধারন পরিষদের সদস্যদের পরামর্শক্রমে সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করিবেন। যদি সভাপতি সাময়িকভাবে ছুটি গ্রহনে বাধ্য হন তাহলে তিনি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরমার্শ করে অস্থায়ী সভাপতি নিযুক্ত করতে পারবেন। 

৩. ফাউন্ডেশনের কোন সিদ্ধান্ত  গ্রহণে পক্ষে বিপক্ষে সম সংখ্যক ভোট হইলে তিনি কাষ্টিং ভোট দিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বাতিল করিতে পারিবেন।

১৫.০২: সহ সভাপতি:

সভাপতি এর অনুপস্থিতিতে সহ সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন। ইহা ছাড়াও সভাপতি এর পরামর্শক্রমে সংগঠনের দৈনন্দিন অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।

১৫.০৩: সাধারণ সম্পাদক:

  • সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে কাজ করবেন।
  • সভাপতি এর পরামর্শ অনুযায়ী সভা আহবানের নোটিশজারী করিবেন।
  • তিনি বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের বার্ষিক রিপোর্ট, বার্ষিক বাজেট, বার্ষিক আয়-ব্যয় হিসাব ও বার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন।
  • তিনি সংগঠনের পক্ষে বিভিন্ন চুক্তিপত্র সম্পাদন করিবেন এবং সংগঠনের পক্ষে প্রয়োজন হইলে সভাপতি এর অনুমতিক্রমে প্রতিধিত্ব করিবেন।
  • তিনি ক্যাশ বহিতে প্রতি স্বাক্ষর করিবেন ও খরচের ভাউচার পাশ করিবেন।
  • অন্যান্য সদস্যদের কার‌্যাবলী তদারকী করিবেন।
  • সর্বোপরি তিনি সংস্থার কল্যাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখিবেন।
  • তাহার যাবতীয় কাজকমের জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন।

১৫.০৪: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক:

সাধারণ সম্পাদক এর অনুপস্থিতিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করিবেন। ইহা ছাড়াও সভাপতি এর পরামর্শক্রমে সংস্থার দৈনন্দিন অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করিবেন।

১৫.০৫: সাংগঠনিক সম্পাদক: 

সাংগঠনিক সম্পাদক সদস্যপদ বাড়ানো, শাখা সংগঠনসহ সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং গঠিত শাখাসমূহের অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পরিষদের সভায় উত্থাপন করবেন। সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাহী পরিষদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে তাদের দায়িত্ব বণ্টন করবেন।

১৫.০৬: অর্থ সম্পাদক:

  • অর্থ সম্পাদক সংগঠনের অর্থ বিভাগের প্রধান।
  • তিনি সদস্যদের নিকট হইতে রশিদ মূলে চাঁদা আদায় করিবেন প্রাপ্তব্য অন্যান্য অর্থ সংস্থার রশিদ মূলে গ্রহণ করিবেন।
  • তিনি সংগঠনের অর্থের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন।
  • তিনি ক্যাশ বহি লিপিবদ্ধ করিবেন এবং স্বাক্ষর করিবেন।
  • আদায়কৃত অর্থ আদায়ের পরবর্তী ০৬ (ছয়) দিনের মধ্যে সংগঠনের ব্যাংক একাউন্টে জমা করিবেন।
  • বার্ষিক অডিট সম্পাদন করাইবেন।
  • সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর পরামর্শে অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।
  • এক কথায় তিনি আর্থিক বিষয়ে দায়িত্ব পালন করিবেন।
  • তাহার যাবতীয় কাজকর্মের জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন।

১৫.০৭. দপ্তর সম্পাদক ঃ

দপ্তর সম্পাদক ফাউন্ডেশনের অফিস ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন। ফাউন্ডেশনের সভার নোটিশ প্রেরণ, কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ, ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কাগজপত্র ও প্রকাশনা কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রয়োজনে ফাউন্ডেশনের সদস্যদেরকে প্রেরণের ব্যবস্থা করবেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক সহায়তা প্রদান করবেন।

১৫.০৮. প্রচার (তথ্য প্রযুক্তি), প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক ঃ

তিনি সংস্কৃতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষনের জন্য দক্ষ কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক তৈরীতে ও প্রভাবিত করতে পাঠাগার ও প্রশিক্ষণ সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তড়বায়নের উদ্যোগ নিবেন এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে গরিব কৃতিমান কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের উৎসাহ পৃষ্টপোষকতা দান করতে চেষ্টা করবেন। ইস্যু ভিত্তিক ক্যাম্পিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন করবেন। তিনি সংগঠনের সার্বিক কার্যক্রম ও পরিকল্পনা গনমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদে রিপোট দেবেন। সর্বপরি সংগঠন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন।

১৫.০৯. সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদকঃ

সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক ফাউন্ডেশনের যাবতীয় সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক কর্মকা- পরিচালনা করবেন এবং সদস্যদের জন্য নানা প্রকার ক্রীড়া আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন।

১৫.১০.আইন সম্পাদক ঃ

তিনি আইন আদালত অঙ্গনের পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন, দূনীতি পর্যবেক্ষন, সংগঠনের সকল কার্যক্রমের আইনি দিক খতিয়ে দেখা, লজিক্যাল রির্পোটের ব্যবস্থা করা, নারী ও শিশু নির্যাতন ও পরিবেশ-মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ প্রদান, উঠান বৈঠক বা শালিশের ব্যবস্থা করে সংকট নিরসনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। নোট, কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন ও অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা করবেন। সর্বোপরি সংগঠন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন।

১৫.১১ শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকাঃ

নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় আইনি সহায়তা, নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহন করবেন, উন্নয়নের পথ খোজে বের করবেন ও সাধ্যমত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিবেন। সর্বোপরি সংগঠন কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন।

ধারা- ১৬: উপ কমিটি গঠন:

অত্র সংগঠনের কোন অনুষ্ঠান, বিশেষ কাজ বা উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়া কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যদের সমন্বয়ে এক বা একাধিক উপ কমিটি গঠন করিয়া সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করিবেন। যে বিষয়ে কমিটি গঠন করা হইল সেই কাজ শেষ হইলে উপ কমিটি বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। উপ কমিটি তাহার যাবতীয় কাজের জন্য কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবেন।

ধারা- ১৭: এডহক কমিটি:

কোন কারণে যথাসময়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন করা সম্ভাব না হইলে সাধারণ পরিষদ সভায় ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করা হইবে। কমিটিতে একজন আহ্বায়ক, একজন সদস্য সচিব ও একজন সদস্য থাকিবেন। আহ্বায়ক এই কমিটির প্রধান থাকিবেন। এই কমিটি নির্বাচন সংক্রান্ত বিধির যাবতীয় বিষয় অনুসরণ করিয়া পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব, সমর্থন বা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নতুন পরিষদ গঠন করিয়া পরবর্তী ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে নির্বাচিত পরিষদের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবে। উল্লেখ্য যে, এডহক কমিটির কোন সদস্যই কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রার্থী হইতে পারিবে না।

ধারা- ১৮: নিয়োগ পদ্ধতি:

অত্র সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রশিক্ষক নিয়োগ করার প্রয়োজন হইলে কার্যকরী পরিষদ সিদ্ধান্ত নয়া ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করিয়া কর্মচারী নিয়োগ করিবেন। নিয়োগ কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে সদস্য সচিব থাকিবেন। নিয়োগ কমিটি প্রয়োজনীয় ইন্টারভিউর মাধ্যমে যাচাই বাছাই করিয়া কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত করিবেন। নিয়োগ কমিটি নিয়োগ বিধি ও চাকুরীর শর্তবালী প্রণয়ন করিবেন এবং বেতন ভাতা নির্ধারণ করিবেন। নিয়োগ কমিটির রূপরেখা নিম্মরূপ-

১। সভাপতি, ২। সাধারণ সম্পাদক, ৩। সাংগঠনিক সম্পাদক, ৪। অর্থ সম্পাদক এবং ০২ জন কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য নিয়ে নিয়োগ কমিঠি গঠিত হইবে।


ধারা- ১৯: সভা সংক্রান্ত বিধি:

অত্র সংস্থায় ০৫ (পাঁচ) প্রকার সভা অনুষ্ঠিত হইবে যথা- (১) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা, (২) বার্ষিক সাধারণ সভা, (০৩) জরুরী সভা (০৪) মূলতবী সভা ও (০৫) তলবী সভা।

১৯.০১: কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা:

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নিয়া প্রতি ০২ (দুই) মাস অন্তর সভা অনুষ্ঠিত হইবে। এই সভায় সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রমের মূল্যায়ন, কোন সমস্যা থাকিলে সে বিষয় আলোচনা ও সমস্যা নিরসন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিতে হইবে।

১৯.০২: বার্ষিক সাধারণ সভা:

সকল সদ্যদের সমন্বয়ে বৎসরে কমপক্ষে ০১ (এক) বার এই সভা অনুষ্ঠিত হইবে। এই সভায় বার্ষিক অগ্রগতির প্রতিবেদন, বার্ষিক পরিকল্পনা, বার্ষিক বাজেট ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুমোদনের জন্য পেশ করা হইবে। গঠনতন্ত্রের যেই কোন সংশোধনী এই সভায় অনুমোদন করা যাইবে। সকল সদস্য সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় মতামত পেশ করিতে পারিবেন।

১৯.০৩: জরুরী সভা:

সংগঠনের জরুরী সিদ্ধান্ত গ্রহণার্থে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সর্বনিম্ম ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার নোটিশে জরুরী সভা আহ্বান করিতে পারিবেন। জরুরী সভায় কোরামের কোন বাধ্যবাধকতা থাকিবে না। এই সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদ সভায় সবাইকে অবহিত করিতে হইবে।

১৯.০৪: মূলতবী সভা:

যেকোন কারণে সভাপতি কর্তৃক সভা মূলতবী ঘোষিত হইলে, ঐ সভা পরবর্তী সপ্তাহে একই স্থানে একই সময়ে ও একই আলোচ্য বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত হইবে। এই সভায় কোরামের কোন বাধ্যবাধকতা থাকিবে না। মূলতবী গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

১৯.০৫: তলবী সভা:

কোন কারণে সংগঠনের জটিল সমস্যা সৃস্টি হইলে কার্যনির্বাহী পরিষদ তাহা নিরসনে ভূমিকা না নিলে ঐ সমস্যা সমাধানের জন্য ২/৩ (দুইতৃৃতীয়াংশ) সদস্য সম্মিলিতভাবে সভা আহ্বানের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারিবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবেদনপত্র পাওয়ার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সমাধান দিতে বাধ্য থাকিবে। তলবী সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গন্য হইবে এবং কার্য নির্বাহী পরিষদ তাহার বাস্তবায়ন করিবেন।

ধারা- ২০: সভার নোটিশ:

বার্ষিক সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে, কার্যকরী পরিষদের সভা ০৭ (সাত) দিনের নোটিশে, জরুরি সভা ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার নোটিশে অনুষ্ঠিত হইবে। নোটিশে সভার স্থান, তারিখ, সময়, আলোচ্য সূচী ইত্যাদি পরিস্কারভাবে লিপিবদ্ধ করা হইবে। নোটিশ এক ফর্দ্দ নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানো হইবে। সদস্যদের নিকট নোটিশ বই মারফত অথবা ডাকযোগ অথবা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হইবে।

ধারা- ২১: আর্থিক বিধি:

(ক) আর্থিক বছর ১লা জুলাই হইতে ৩০শে জুন হিসাবে গণ্য করা হইবে।

(খ) এই সংগঠনের নামে সরকার অনুমোদিত যেকোন সিডিউল ব্যাংকে একটি জরুরি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হইবে। উক্ত হিসাব সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক এই ০৩ (তিন) জনের স্বাক্ষরে খেলা হইবে। অর্থ সম্পাদক, সভাপতি/সাধারণ এর যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হইতে টাকা উত্তোলন করা যাইবে।

(গ) সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাধারন সম্পাদকের হাতে নগদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা রাখতে পারিবেন।

ধারা- ২২: আয়ের উৎস:

(০১) সদস্যদের ভর্তি, (০২) সদস্যদের চাঁদা ও এককালীন দান, (০৩) বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তিদেরদান, (০৪) সরকারি বেসরকারি অনুদান, (০৫) কর্মসূচী থেকে প্রাপ্ত আয়, (০৬) আজীবন সদস্যদের চাঁদা এবং বৈধ উপায়ে প্রাপ্ত অন্যান্য খাত আয়ের উৎস হিসেবে বিবেচিত হইবে।

ধারা- ২৩: ব্যয়ের খাত:

সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা অনুসারে সাধারণ পরিষদ/কার্যকরী পরিষদের অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুসারে অর্থ ব্যয় করা যাইবে। জরুরী কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর জ্ঞাতসারে নগদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা পর্যন্ত ব্যয় করিতে পারিবেন।

ধারা- ২৪: হিসাব নিরীক্ষণ (অডিট):

অর্থ বছর শেষে সংগঠনের আয় ব্যয়ের হিসাব সরকার অনুমোদিত অডিট ফার্ম হইতে বা সংগঠনের নিবন্ধীকরণ কর্মকর্তা দ্বারা নিরীক্ষণ করা হইবে। হিসাব নিরীক্ষণ প্রতিবেদন সকলের অবগতির জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করা হইবে।

ধারা- ২৫: নির্বাচন পদ্ধতি:

দুই পদ্ধতিতে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা যাইবে। যথা: (১) সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে, (০২) গোপন ব্যালট নির্বাচনের মাধ্যমে।

২৫.০১: সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ক্রমে:

যেহেতু এই সংগঠনের একটি অরাজনৈতিক সমাজ ও মানব সেবামূলক সংগঠন, সেহেতু কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ০১ (এক) মাস পূর্বে সাধারণ পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়া প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটি গঠন করা হইবে। ইহা সর্বোত্তম পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হইবে। সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত নিয়া প্রস্তাব সমর্থনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে জটিলতা সৃষ্টি হইলে গোপন ব্যালট নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হইবে।

২৫.০২: গোপন ব্যালট নির্বাচনের বিধি:

(০১) সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়া কার্যকরী কমিটি গঠনে ব্যর্থ হইলে ঐ সভায় ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হইবে। নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।

(০২) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ২১ (একুশ) দিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করিবেন। খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ, নির্বাচনের তারিখ, সময়, স্থান, নির্বাচন পদ্ধতি, মনোনয়নপত্র জমা করার জন্য তারিখ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ, প্রতীক, চূড়ান্তভাবে মনোনয়নপত্র প্রকাশের তারিখ সর্ব বিষয়ে উল্লেখ করিয়া নির্বাচন তপসিল ঘোষণা করিয়া নির্বাচনী কাজ সমাধান করিবেন। নির্বাচনী তফসিল বহুল প্রচারের জন্য সদস্যদেরকে যথাসময়ে অবহিত করতে হবে। এই বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করিবেন।

(০৩) কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ সমান সংখ্যক ভোট পাইলে নির্বাচন কমিশন লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করিবেন। কোন পদে একাধিক প্রার্থী না থাকিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বনদ্বীতায় বিজয়ী ঘোষণা করিবেন। (যদি মনোনয়নপত্র বৈধ থাকে)।

(০৪) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনই নির্বাচন কমিশন প্রার্থী বা তাহাদের এজেন্টদের সম্মুখে ভোট গ্রহণ শেষে প্রাপ্ত ভোট গণনা করিয়া (যদি কেহ উপস্থিত থাকেন) ফলাফল ঘোষণা করিবেন।

(০৫) নির্বাচনী কার্যক্রম বা ঘোষিত ফলাফল সম্পর্কে কাহারো কোন আপত্তি থাকিলে তাহা লিখিতভাবে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে নিবন্ধীকরন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে পারিবেন। নিবন্ধীকরন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত/মতামত সংশ্লিষ্ট সকলে মানিয়া নিবেন।

(০৬) কমিটির মেয়াদ ১লা জানুয়ারী হইতে ৩১ শে ডিসেম্বও পর্যন্ত ০১ (এক) বৎসর গণনা হইবে।

(০৭) ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে বিদায়ী পরিষদ নব নির্বাচিত পরিষদকে দায়িত্ব হস্থান্তর করিবেন।

ধারা- ২৬: ভোটার:

  • কোন সদস্য চাঁদা একাধারে ০৩ (তিন) মাস বাকি থাকিলে তিনি ভোটাধিকার পাবেন না। ভোটাধিকার না থাকিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
  • নির্বাচন অনুষ্ঠনের ০১ (এক) বছর পূর্বে সদস্যপদ গ্রহণ করিতে হইবে।
  • একজন ভোটার কার্যনির্বাহী পরিষদের যেকোন একটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন।
  • একজন ভোটার প্রতিটি পদের জন্য একটি করে ভোট দিতে পারিবেন।

ধারা- ২৭: অনাস্থার নিয়ম:

কার্যনির্বাহী পরিষদের যেকোন কর্মকর্তাকে নিম্ম বর্ণিত যেকোন অভিযোগে অভিযুক্ত করিয়া যে কোন সদস্য তাহার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনিতে পারিবেন। অনাস্থাপত্রে অবশ্যই নি¤œবর্ণিত যেকোন এক বা একাধিক অভিযোগ প্রমাণ করিতে হইবে এবং ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য কর্তৃক সমর্থিত হইতে হইবে। অন্যথায় আনীত অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

১. সংগঠনের অর্থ আত্মসাৎ বা অর্থ তছরুপ অভিযুক্ত করিয়া।

২. ক্ষমতাসীন পদের সুষ্ঠু দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে অভিযুক্ত করিয়া।

৩. সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত করিয়া।

৪. চারিত্রিক দূর্বলতার অভিযোগে অভিযুক্ত করিয়া।

৫. সংগঠনের অভ্যন্তরে গোলযোগ সৃষ্টি করিলে বা অন্য কাহাকেও গোলযোগ সৃষ্টির উৎসাহ যোগাইলে।

ধারা- ২৮: গঠনতন্ত্র সংশোধন:

গঠনতন্ত্রের কোন ধারা, উপধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন কিংবা সংশোধন বা বাতিল ইত্যাদির প্রয়োজন হইলে সাধারণ সভায় ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিবন্ধনীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে তাহা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হইবে।

ধারা- ২৯: বিরোধ মিমাংসা:

সংগঠনের কোন কার্যক্রম বা গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ বা অন্য কোন বিষয়ে সদস্যদের মধ্যে কোন বিরোধ সৃষ্টি হইলে তাহা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট “নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষকে” অবহিত করা হইবে। তাহাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

ধারা- ৩০: বিলুপ্তি:

কোন কারণ বশত: অত্র সংগঠনের অচল অবস্থা সৃষ্টি হইলে বা সংগঠনের প্রয়োজন নাই বলিয়া ৩/৫ (তিন পঞ্চমাংশ) সদস্যদের নিকট প্রতীয়মান হইলে, উক্ত ৩/৫ (তিন পঞ্চমাংশ) ভাগ সদস্য সংগঠনের বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়া ০১ (এক) মাস সময়ের মধ্যেই সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মাধ্যমে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট বিলুপ্তির আদেশজারী করার জন্য আবেদন করিবেন। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট বিলুপ্তির আদেশজারী করার জন্য আবেদন করিবেন। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে বিলুপ্তির আদেশজারী হইলে অত্র সংগঠন চূড়ান্ত বিলুপ্তি ঘটিবে। বিলুপ্তকৃত সংগঠনের মালামাল, স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি হইতে সংগঠনের দেনা থাকিলে তাহা পরিশোধ করিয়া অবশিষ্ট সমস্ত মালামাল, স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে ও অনুমতিক্রমে “চৌহালী ইউথ ফাউন্ডেশন”কে দান করা হইবে।

শপথ বাক্যঃ

এই শপথ সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সকল সাধারণ সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য।

আমি চৌহালি ইউথ ফাউন্ডেশন এর সদস্য/পদে নিযুক্ত হয়েছি। আমি এই সামাজিক সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পূণরুপে একমতপোষণ করছি। চৌহালি ইউথ ফাউন্ডেশন যে সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাতে আমি সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা করব। এই সংগঠনের বিধিমালা যথাযথভাবে মেনে চলব। সর্বোপরি সামাজিক এই উন্নয়ন কর্মকান্ডে বেগবান করার জন্য নিজেকে সদা সচেষ্ট রাখিব এবং আমার অর্পিত দায়িত্ব স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করিব। হে মহান স্রষ্টা আমাকে সেই শক্তি দিন।


উপরোক্ত গঠনতন্ত্র ০১/০৩/২০১৯ ইং তারিখের সাধারণ সভায় অনুমোদিত হয়। সমাজ সেবা অধিদপ্তরকে অবহিত করে।


গঠনন্ত্র অনুমোদনকারী কার্য নির্বাহী পরিষদের স্বাক্ষর সহ তালিকা ঃ


ক্রঃ নং             নাম              পদবী         মোবাইল                 নম্বর             স্বক্ষর

১. মোঃ জাকির হোসেন- সভাপতি ০১৯২৫-৯০৫৬৬৬

২. মোঃ আনোয়ার হোসেন- সহঃ সভাপতি ০১৯১৭-৩৩৪৪২৪

৩. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক- সাধারণ সম্পাদক ০১৯১৯-৪৪৫৭৫১

৪. মোঃ ওমর ফারুক- যুগ্মসম্পাদক ০১৯১২-৭৬৬৪৫৯

৫. মোঃ নুর আলম- সাংগঠনিক সম্পাদক ০১৭৬০-১৩৬৯৯৮

৬. মোঃ শাহিনুর ইসলাম রিপন- কোষাধক্ষ্য ০১৭২৪-০৬৪১৭৩

৭. মোঃ রোকোনুজ্জামান-  তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ০১৭৬৮-০৬৭৭৪৬

৮. মোঃ আসলাম- দপ্তর সম্পাদক ০১৭৬২-৮৬২০৯১

৯. মোঃ জহিরুল ইসলাম- সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক ০১৭২১-২৫৯৫৪৬

১০. মোছাঃ রহিমা খাতুন- আইন সম্পাদক

১১. মোছাঃ সারমিন- শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা



1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন