সামাজিক ঐক্যবদ্ধতা হলো যে কোন সমাজের একটি মূল ভিত্তি। এ ভিত্তির উপরেই দাড়িয়ে থাকে সমাজের সৌন্দর্য এবং আদর্শ। সামজিক ভিত্তি যদি দুর্বল হলে সমাজ ভেঙে পড়ে। সামাজিক ঐক্যবদ্ধতাকে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন একটি সুস্থ, সুন্দর সামজিক সংগঠন। এমনকি ধর্মীয় ভাবধারাকে শক্ত করার জন্যও সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক একাত্মতা এবং সামাজিক ঐক্যবদ্ধতা। তাই প্রতিটি মানুষের জন্য সামাজিক সংগঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সামাজিক সংগঠনের অন্যবদ্য গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
সামাজিক সংগঠনে নিজেকে যুক্ত করার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। সামাজিক সংগঠনগুলোতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইতিবাচক গুণাবলী তৈরী হয় যার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নেতৃত্ব-গুণ তৈরী হয়। দায়িত্বশীলতা বাড়ে, সামাজিক দায়বদ্ধতা বাড়ে।
সাধারণত প্রত্যেক সামাজিক সংগঠনগুলোর মৌলিক বিষয় একই হয়। সামাজিক সংগঠন শেখায় কিভাবে সবার মতকে শ্রদ্ধা করতে হয়, দায়িত্ব পালন করতে, নিজেকে বিকশিত করতে, একসঙ্গে কাজ করতে ও সহনশীল হতে। তাছাড়া সুনির্দিষ্ট কিছু মূল্যবোধের ভিত্তিতে নিয়মকান্তিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতেও শিক্ষা দেয় সামাজিক সংগঠন।
মানুষ মানুষে যে অসহিষ্ণুতা, অস্থিরতা সামাজিক অবক্ষয়, সামাজিক মূল্যবোধের অভাব দেখা যায় এগুলো দূর করতে হলে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ প্রয়োজন। সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক পরিবেশে সুস্থতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। নিজেকে একজন চৌকস মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা বা একজন উদার মানুষ হতে হলে লেখাপড়া, রাজনীতি ও নিজের কাজের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় কাজ করতে হবে।
এরিস্টটল সামাজিক সংগঠন সম্পর্কে বলেছিলেন Pleasure in the job put perfection in the work সংগঠন মানুষের নেতিবাচকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে সহযোগিতা করে। সামাজিক সংগঠন হতাশা ও দুঃখবোধ থেকে বেড়িয়ে আসতেও মানুষকে সাহায্য করে। চলার পথে একে অন্যকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরী করে। জীবনের প্রতি মুহূর্তকে উপভোগ করার পরিস্থিতি ও তৈরী করে দেয় সংগঠন।
চীনা দার্শনিক কনফুশিয়াস তার অবিস্মরণীয় একটি রয়েছে : He who wished to secure the good of others, has already secured his own. অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্যের কল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করে সে প্রকৃত প্রক্ষে নিজের কল্যাণই নিশ্চিত করে।
সাধারণত ব্যাক্তির সঙ্গে অন্য ব্যক্তির সমাজের বন্ধন যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখন সমাজে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরী হয়। সেই ক্ষেত্রে ব্যক্তির সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক মধুর করার পেছনে একটি আদর্শ সামজিক সংগঠনের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্ভব অনেক দিন আগ থেকেই চলে আসছে। এখানে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ নেই। এখানে রাজনীতি এমনকিও ক্ষেত্র বিশেষে ধর্মও যার যার কিন্তু একটি সামাজিক সংগঠন সবার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এমন সব নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা সমাজের জন্য পাথেয় হিসেবে কাজ করে আসছে।
ইংরেজীতে একটি কথা আছে A man who builds wall instead of bridge has no right to complain if he is alone অর্থাৎ কেউ যদি সেতুর বদলে প্রাচীর রচনা করে নি:সঙ্গ হলে অভিযোগ করার অধিকারটিও সে হারায়।
ইসলামে সেবা ও ‘সামাজিক সেবা’র গুরুত্ব :
মহানবী হযরত মুহাম্মদ স. নবুওয়াত পাওয়ার আগেই আপামর জন সমাজের সেবার জন্য তরুণদের নিয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে সেবা সংগঠন বা সামাজিক সংগঠন করেছিলেন। নবুওয়াত পাওয়ার পরও তিনি সাহাবায়ে কোরাম রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আজমায়ীনদের নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করেছেন।
ইসলাম ধর্মে সংগঠিত হয়ে মানুষের সহায়তামূলক সামাজিক কাজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করে থাকে। পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম জনগোষ্ঠী মূলত একটি সংগঠন, দল বা organisation। এই জন্যেই রাসূলুল্লাহ (স.)-এর হাদীসে মুসলিম জনসমষ্টিকে একটি দেহের সাথে তুলনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে – ‘‘হযরত নূমান বিন বশীর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন-মুমিনদের পারস্পরিক ভালবাসা, দয়া ও সহানুভূতি মানবদেহ সদৃশ। তার কোন অংশ রোগাক্রান্ত হলে সমগ্র দেহ নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে দুর্বল হয়ে পড়ে। (বুখারী ও মুসলিম)
সামাজিক সংগঠন বা সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষকে সবচেয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ করে ইসলাম। ইসলাম মানুষকে সর্বোচ্চ মানবিকতা, পরহিতৈষণা, সহমর্মিতা ও মহানুভবতার শিক্ষা দিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাঁর নবীকে প্রেরণ করেছেন দয়া ও সহমর্মিতার প্রতীক হিসেবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন: ‘আর আমি আপনাকে সৃষ্টিকুলের জন্য রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।’ [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭]
পবিত্র কুরআনের বহু জায়গায় স্পষ্ট আকারেই মানুষকে সহযোগিতা করা ও সামাজিক সেবামূলক কাজ করার নির্দেশনা এসেছে। দান-সদকা ও অন্যের জন্য খরচে উদ্বুদ্ধ করে অনেক আয়াত নাযিল হয়েছে। যেমন :
ক) আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘এমন কে আছে যে, আল্লাহকে উত্তম করয দেবে? তাহলে তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেবেন এবং তার জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান।’ [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত : ১১]
খ) আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘কে আছে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহু গুণে বাড়িয়ে দেবেন? আর আল্লাহ সংকীর্ণ করেন ও প্রসারিত করেন এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরানো হবে।’ [সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২৬১]
গ) আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ [সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২৬১]
ঘ) আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘নিশ্চয় দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী এবং যারা আল্লাহকে উত্তম করয দেয়, তাদের জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান।’ [সূরা আল-হাদীদ, আয়াত : ১৮]
পবিত্র হাদীস শরীফেও এ বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে-
১. আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে তাকে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।’ [মুসলিম : ৭০২৮; আবূ দাঊদ : ৪৯৪৮; তিরমিযী : ১৪২৫]
২. সাহাবী আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে আরও বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘হে মুসলিম নারীগণ, এক প্রতিবেশি যেন তার অপর প্রতিবেশির পাঠানো দানকে তুচ্ছজ্ঞান না করে, যদিও তা ছাগলের পায়ের একটি ক্ষুর হয়।’ [বুখারী : ২৫৬৬; মুসলিম : ২২৬]
৩. আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।’ (বর্ণনাকারী বলেন,) আমার ধারণা তিনি আরও বলেন, ‘এবং সে ওই সালাত আদায়কারীর ন্যায় যার ক্লান্তি নেই এবং ওই সিয়াম পালনকারীর ন্যায় যার সিয়ামে বিরাম নেই।’ [বুখারী : ৬০০৭; মুসলিম : ৭৬৫৯]
একটি সামাজিক সংগঠনে প্রাথমিক কাজ ও রুপরেখা :
আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে বা পারিবারিক জীবনে সববিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সামাজিক সংগঠন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজসেবা, গনসচেতনতা, সুনাগরিকত্ব ইত্যাদি সহ সার্বিক সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যেই সামাজিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠা করা হয়। একটি সংগঠন এর সাধারনত নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হয়।
সমন্বয় সাধন : সামাজিক সংগঠন কখনোই নিজস্ব বা ব্যক্তিগত কিছু নয়। একা কোন মানুষ একটি সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সকলের সমন্বিত উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান একত্র করে সংগঠন সৃষ্টি করতে হয়।
সুনির্দিষ্ট কাঠামো : প্রতিটি সংগঠন একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় গড়ে ওঠে। অর্থাৎ একটি সংগঠন কোন ধরনের কাজ করবে তা সুনির্দিষ্ট থাকবে।
সামাজিক উন্নয়ন : সংগঠনকে অবশ্যই সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
নৈতিক ও ধর্মীয় উন্নয়ন : যাদের নিয়ে সংগঠন গঠিত তাদের সবার আত্মউন্নয়নে কাজ করতে হবে। তাদের নৈতিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে সংগঠনের মূখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। নিয়মিত ধর্মচর্চা এবং ধর্মীয় সভা-সমাবেশসহ সঠিক ধর্ম ও নৈতিকজ্ঞান সবার মধ্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
শিল্পসংস্কৃতি চর্চা : সংগঠনের অন্যতম কাজ হওয়া উচিত শিল্প সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে শিল্পমনস্ক মানুষ তৈরী করা। যে দেশের শিক্ষা যতবেশী সমৃদ্ধ সে দেশের মানুষ ততবেশী নৈতিকতায় সমৃদ্ধ প্রতিটি সংগঠনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিল্পসাহিত্য ও নৈতিক গুণচর্চার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকা।
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য : লক্ষ্য বিহীন কোন কিছুরই অস্তিত্ব বেশীদিন ঠিকিয়ে রাখা যায় না। সুতরাং সংগঠনের অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ও গঠনমূলক লক্ষ্য থাকতে হবে।
সংগঠকের ভূমিকা : একজন সংগঠকের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সংগঠনের ভালো-মন্দ, সুনাম-দুর্নাম অনেক কিছুই সংগঠকের উপরে নির্ভরশীল। তাই সংগঠকের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।
সংগঠকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো –
সমন্বয় সাধন : একজন সংগঠককে সব সময় একজন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতে হয়। একা কোনো ব্যক্তি কোনো সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সংগঠককে সব সময় সবকিছুর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
পরিকল্পনা : সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে।
ব্যবস্থাপনা দক্ষতা : একজন সংগঠককে একজন ভালো ব্যবস্থাপক হতে হবে। ব্যবস্থাপনায় যে যত ভালো তিনিই তত ভাল সংগঠক।
নিয়ন্ত্রন দক্ষতা : যে কোন কাজেই নিয়ন্ত্রন প্রয়োজন। সঠিক নিয়ন্ত্রন ছাড়া কোন উদ্যোগে সফল করা যায় না। তাই একজন সংগঠকের নিয়ন্ত্রন দক্ষতা থাকতে হবে।
সৃজনশীলতা : যে কোন সামাজিক সংগঠনের সৃষ্টিই হয় সমাজকে আরো ভালো করে তৈরী করার জন্য। তাই সংগঠকদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিল্প সাহিত্যের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রচুর পড়াশুনা করা : পড়াশুনার অভ্যাস মানুষকে বিকশিত করে, সৃজনশীল করে, গতানুগতিক হতে সাহায্য করে এজন্য একজন সংগঠককে ভালো বই পড়তে হবে। খ্যাতিমান মানুষের জীবনী পড়তে হবে।
নেতৃত্বের গুন : একটি সংগঠন সুষ্ঠ এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য যোগ্য নেতার প্রয়োজন: যেমন হাসিখুশী ভাব, কথা বলার দক্ষতা, কর্মমুখরতা, সাহসিকতা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের সক্ষমতা, মহৎ স্বপ্ন দেখা, গনতান্ত্রিক মনোভাব বজায় রাখা, মাথাঠান্ডা রাখা, দূরদর্শীতা, সমস্যায় পড়লে সমস্যা সমাধানের পথ খুজে বের করা এবং বিরতীহীন ভাবে কাজ করা ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়, একটি সামাজিক সংগঠনকে সফল করতে হলে নেতাদের নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা, ধৈর্য্য, স্বেচ্ছাসেবী মানসিকতা, সহযোগিতা-পরায়ন, দলগত সিদ্ধান্তের উপর শ্রদ্ধাশীল মনোভাব, সর্বোপরি নৈতিক গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে। সংগঠন হলো এক সুতোয় এক এক করে এক একটা ফুল দিয়ে গাঁথা মালার মতো।